আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আপনাকে সারা জীবন মনে রাখব ,সীতাকুণ্ড থানার জনসাধারণ।

তুহিন রহমান।

বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তার রোধকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায়,চট্রগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা,মাদক-সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে নির্মূলে কঠোর ভূমিকায় নিরলস কাজ করছেন।সীতাকুণ্ড মডেল থানায় যোগদানের পর হতে তোফায়েল আহমেদ, থানা এলাকার সন্ত্রাস দমন,নাশকতা প্রতিরোধ ও সার্বিক আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন।তিনি অত্র থানায় কর্মকালীন সময়ে তার বলিষ্ট নেতৃত্বে সীতাকুণ্ড উপজেলায় চিহ্নিত শির্ষ পর্যায়ের সর্বমোট ৩৬ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন এবং উক্ত সন্ত্রাসীদের দখল হতে মোট ২৬ টি দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র  ও ৬২ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ উদ্ধার করেন।
এলাকায় নাশকতা প্রতিরোধে তথ্য প্রযুক্তি ও পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে সরকার বিরোধী সর্বমোট ১২৫ জন নাশকতাকারী গ্রেফতারকরে বিচারাথে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেনযাদের মধ্যে ১১৬ জন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের এবং ০৯ জন জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ দলের অনুসারি।
২০১৩ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়কালে অত্র সীতাকুন্ড থানায় উল্লেখযোগ্য নাশকতা সংগঠিত হলেও চলতি ২০২৩ ইং সালে অদ্যবদি তার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে সীতাকুন্ড থানা এলাকায় কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। তার এই কর্মকালীন সময়ে থানা এলাকায় বিভিন্ন কারণে মোট ১১টি হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। যাহার মধ্যে ০৮টি মামলার ঘটনার কোন প্রকার “ক্লু”না থাকা স্বত্বেও তাহার বিচক্ষনতা ও দূরদর্শীতায় মামলা সমূহের মূল রহস্য উৎঘাটন সহ প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমানসহ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিগত ২০১৩ সাল হইতে বিএনপি/জামাত এর ডাকা হরতাল কর্মসূচীতে বিএনপি ও জামাত কর্তৃক ২০১৩ সালে-১০৬টি,২০১৪ সালে-০৮টি, ২০১৫ সালে-১৭টি, ২০২২সালে-০৫টি সংহিশতার ঘটনা ঘটলেও, বর্তমানে উল্লেখ্য যোগ্য কোন ঘটনা ঘটে নাই।
তার যোগদান পূর্ববর্তী সময় কালে সীতাকুন্ড থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরি,দস্যুতা,ডাকাতির ঘটনা ঘটার নজির থাকলেও তার যোগদানের পরবর্তী সময়কালে তার বিচক্ষন নেতৃত্বের কারণে এ ধরনের কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি। তবে উক্ত সময়কালে উল্লেখযোগ্য ০২টি দস্যুতার ঘটনা ঘটলেও ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তার বিচক্ষন নেতৃত্বে প্রকৃত আসামী গ্রেফতারসহ মামলা সমূহের মূল রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হয়।সর্বোপরি তিনি অফিসার ইনচার্জ, সীতাকুন্ড মডেল থানা হিসেবে যোগদানের পর হতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য প্রতিটি বিটে বিভিন্ন সময় বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। তাহার নেতৃত্বে জিআর-৭৪৫টি, সিআর-১১৩০টি, জিআর সাজা-১৭৭টি এবং সিআর সাজা-২০৯টি ওয়ারেন্ট তামিলসহ নিস্পত্তি করেন। এছাড়া থানা এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান সহ সনাতন হিন্দু সম্প্রদয়ের ইতিহাস প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান সীতাকুন্ড জাতীয় মহাতীর্থের তথা ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ ধামে শিব চর্তুদর্শী  উৎসব ও মেলা,শারদীয় দূর্গোৎসব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করেন।তার সীতাকুন্ড থানায় আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রনসহ অন্যান্য সার্বিক কর্মকান্ডের কারণে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।বিএনপি জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস, চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও সবধরণের সামাজিক অপরাধ নির্মূলে জনগণকে সচেতন করতে বিরামহীন ভাবে ছুটে যান। সীতাকুণ্ডের রাজপথে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস বন্ধ করতে সক্ষম হন তিনি। বিভিন্ন অপরাধ দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছেন।এলাকার একাধিক জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে,তিনি সীতাকুণ্ড মডেল থানায় যোগদানের পূর্বে এলাকায় মাদক চোরাকারবারি সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ তুঙ্গে উঠেছিল। তিনি এসে পর্যায়ক্রমে মাদক কারবারি ও সেবনকারী সহ সকল অপরাধ মূলক কাজকে প্রায় ৯০ ভাগ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তিনি ইতিমধ্যে এলাকার আপামর জনতার কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সর্বদা অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।থানায় এসে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ায় পুলিশের প্রতি অসহায় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান সীতাকুণ্ডবাসী।এলাকার জনসাধারণ আরো বলেন,নির্দ্বিধায় ওসির অফিসে গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা ওনাকে বলে সুষ্ঠু সমাধান পেয়েছি।আমরা অসহায় মানুষ, তারপরও ওসির আচরণে আমরা মুগ্ধ হয়ে ওসিসহ থানার সকল অফিসারের জন্য দোয়া করি।যাতে বর্তমান ওসি বদলি হয়ে গেলেও অন্যান্য অফিসাররা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কঠোর পরিশ্রম করেন। এদিকে সচেতন মহলের ধারণা নির্বাচনী কালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ বর্তমান ওসি তোফায়েল আহমেদকে অত্র থানায় রাখা উচিত ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর